নিবন্ধন না পেয়ে ইসিতে প্রতিবাদলিপি দিলো এবি পার্টি

নিউজ ডেস্ক :
প্রকাশ: ২ মাস আগে

নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন দৌড় থেকে ছিটকে পড়া আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) আহ্বায়ক এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী বলেছেন, নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করছি। প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ আপনাদের বিবেকের কি কোনো দংশন নেই? আপনাদের বিবেক কি কোনো দংশন করে না?

সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিবন্ধন না পাওয়ার প্রতিবাদ ও নিবন্ধন ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে প্রতিবাদলিপি জমা দিয়েছে এবি পার্টি। এছাড়া একই দিনে নিবন্ধন পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছে বিএমজেপি নামে আরেকটি দল।

ইসির নিবন্ধন পেতে ৯৩টি রাজনৈতিক দল আবেদন করলেও তিন দফার ছাঁকুনি শেষে গত ১১ এপ্রিল প্রাথমিক বাছাইয়ে টিকে যাওয়া ১২টি দলের তালিকা প্রকাশ করেছিল কমিশন। এরপর গত সপ্তাহে মাত্র ২টি দলের নাম প্রকাশ করে আউয়াল কমিশন। ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে কারও আপত্তি থাকলে তা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় ইসি। আপত্তি নিষ্পত্তি শেষে এ দুই দলের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। তবে এরই মধ্যে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি ও বাংলাদেসশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) দল দুটির বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে।

প্রতিবাদলিপি জমা দেওয়ার পর এবি পার্টির আহ্বায়ক এএফ এম সোলায়মান চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আশা করেছিলাম নির্বাচন কমিশনের মতো একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের কাছে ন্যায়বিচার পাবো। ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হবে। বাস্তবে ন্যায় অন্যায়বোধের তফাৎ আমাদের বুঝতে কষ্ট হচ্ছে। আমরা এটি বুঝতে পারছি না। ন্যায়কে অন্যায় করা, অন্যায়কে ন্যায় করা আমরা দেখতে পাচ্ছি। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। সঙ্গে সঙ্গে ন্যায় প্রতিষ্ঠিত করার ন্যায়বোধ জাগ্রত করার অনুরোধ জানাচ্ছি। মানুষের বিবেককে জাগ্রত করার অনরোধ জানাচ্ছি।

নির্বাচন কমিশনকে উদ্দেশ করে দলটির আহ্বায়ক বলেন, আপনারা পর পর এতগুলো অন্যায় করে যাচ্ছেন। আপনারা লোকজন লাগিয়ে মাটি খুঁড়ে মানুষের ছোটখাটো অন্যায় খুঁজে বের করছেন। কিন্তু যে দলকে নিবন্ধন দিলেন তাদের বিশাল বিশাল ত্রুটি, তাদের কোনো বাস্তবতা নাই।

এছাড়া নিবন্ধন পুনর্বিবেচনা করার আবেদন করেছে বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি)। বিএমজেপি সভাপতি সুকৃতি কুমার মণ্ডলের ইসিতে জমা দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, বিএমজেপির নিবন্ধন সম্পর্কিত বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবেন। যারা এদেশের নিপীড়িত মানুষের কথা রাজনৈতিকভাবে তুলে ধরার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠী এ দলের দিকে তাকিয়ে আছে। তাদের সেই চাওয়াকে বঞ্চিত করবেন না। এটি বিশ্বাস করতে চাই যে, নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হয়ে এ দলের মর্মকথা বুঝতে সমর্থ হবে।