ফিফা নারী ফুটবল বিশ্বকাপের নবম আসর মাঠে গড়িয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) থেকে শুরু হয়েছে নারী ফুটবলের এই সর্বোচ্চ আসর। নিউজল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় যৌথ আয়োজনে এবারের নারী বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো অংশ নিচ্ছে ৩২ দেশ।
১৯৯১ সালে চায়নায় অনুষ্ঠিত প্রথম আসরে ১২ দল অংশ নিয়েছিল। ২০১১ সালে আরও ৪ দেশ বাড়িয়ে ১৬ দল করা হয়েছিল। তবে চার বছর আগে ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত আসরে খেলেছিল ২৪ দল। এবার তা আরও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২টিতে।
নারী ফুটবলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে এবারের বিশ্বকাপ সর্বাধিক গুরুত্ব পাচ্ছে। কারণ নারী বিশ্বকাপে এত দলের অংশগ্রহণ একটি বিরাট পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। এবার টানা তৃতীয়বারের মত যুক্তরাষ্ট্র শিরোপা জয়ের ফেবারিট হিসেবে মাঠে নামছে।
ঘরের মাঠের সুবিধা নিয়ে অস্ট্রেলিয়াও এবার ফেভারিটের তালিকায় নাম লিখিয়েছে। ইংলিশ ক্লাব চেলসির তারকা ফরোয়ার্ড স্যাম কারের নেতৃত্বে শিরোপায় চোখ রাখছে তারা। আগামী ২০ আগস্ট সিডনিতে হবে শিরোপা নির্ধারণী ফাইনাল। এবারের টুর্নামেন্টে ৩২টি দল আটটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে অংশ নেবে। প্রতিটি দল গ্রুপ পর্বে অন্তত তিনটি ম্যাচ খেলবে। গ্রুপের শীর্ষ আট দল নকআউট পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে।
শুধুমাত্র অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর সংখ্যার দিক থেকেই এবারের বিশ্বকাপ সর্ববৃহৎ নয়। এবারের প্রাইজ মানিও অন্যান্য সব আসরের তুলনায় কয়েকগুণ বাড়িয়েছে ফিফা। ২০১৯ সালের নারী বিশ্বকাপের তুলনায় প্রায় তিনগুন বৃদ্ধি পেয়েছে এবারের প্রাইজ মানি। সব মিলিয়ে এবার প্রাইজ মানি ধরা হয়েছে ১১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। উক্ত অর্থ অংশগ্রহণকারী ৩২টি দেশের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে।