রাজনীতির মাঠে উত্তাপ ছড়াচ্ছে দেশের প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) দুই দলেরই সমাবেশের ঘোষণায় রাজধানীবাসী কিছুটা শঙ্কায় রয়েছে। তবে সংঘাত এড়াতে পুলিশের পক্ষ থেকে দুই দলকেই সড়ক থেকে মাঠে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা ছিল।
এরই অংশ হিসেবে বিএনপিকে গোলাপবাগ মাঠ এবং আওয়ামী লীগকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেশিয়াম বা নাটমঞ্চ বেছে নেয়ার পরামর্শ দেয় ডিএমপি।
শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ বায়তুল মোকাররম এলাকা ছেড়ে পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠকে সমাবেশের জন্য বেছে নিয়েছে।
রাতে ৯টার গুলশানে দলটির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এ নিয়ে বিএনপি মহাসচিবের ব্রিফিংয়ের কথা রয়েছে।
এদিকে সকালে পবিত্র আশুরা উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্রিফিংয়ে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক রাজনিতিক দলগুলোর কর্মসূচি পালনের ভেন্যু নিয়ে কথা বলেন।
তিনি বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সভা-সমাবেশ করার বিষয়ে উচ্চ আদালতের অবজারভেশন রয়েছে। আমরা বিএনপির প্রতিনিধি দলকে গোলাপবাগ মাঠ দেখতে বলেছি।
সমাবেশের অনুমতি প্রসঙ্গে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ ৯টি রাজনৈতিক দল সমাবেশের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছে। আমরা পর্যালোচনা শেষে কয়েকটি দলকে অনুমতি দেব। কর্মদিবসে সড়কে সমাবেশ নয়
এছাড়া কর্মদিবসে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি না দেয়ার জণ্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘সব রাজনৈতিক দলের প্রতি অনুরোধ করব, ওয়ার্কিং ডে-তে বিশাল বিশাল সমাবেশ করে ঢাকার মানুষকে থামিয়ে দেবেন না। লাখ লাখ মানুষকে রাস্তায় আটকে রাখার বিষয়টি বন্ধ করুন।’
ব্রিফিংয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে লাঠিসোঁটা ও ব্যাগ আনা যাবে না বলেও উল্লেখ করেন খন্দকার গোলাম ফারুক।
গত ২২ জুলাই বিএনপির অঙ্গসংগঠন যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের তারুণ্যের সমাবেশে ২৭ জুলাই মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ধারাবাহিকতায় গত সোমবার (২৪ জুলাই) বিএনপির পক্ষ থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বা নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে ডিএমপি কমিশনারের কাছে চিঠি দেয়া হয়।
অন্যদিকে নিজেদের শান্তি সমাবেশের তারিখ পরিবর্তন করে যুবলীগ ২৭ জুলাই নির্ধারণ করে। এ অবস্থায় তারা বায়তুল মোকাররম এলাকা ও গুলিস্তানের দিকে সমাবেশ করার অনুমতি চায়।